এইচআর অফিসারের কি নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা থাকা উচিত?

আজকের এই কর্পোরেট দুনিয়ায় এইচআর অফিসার কেবল কাগজপত্রের ফাইল ও নীতিমালা নিয়ন্ত্রণকারী কেউ নন। তিনি কর্মীদের মনোবল ও পারফরম্যান্স গঠনেও মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এই দায়িত্ব পালন করতে হলে নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা থাকা অপরিহার্য। কারণ, একজন প্রফেশনাল HR অফিসারের নেতৃত্ব শুধু কাজের পরিবেশ উন্নত করে না, বরং প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনেও সহায়ক হয়। 

এই ব্লগে আমরা জানবো, কেনো একজন এইচআর অফিসারের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী থাকা উচিত, কীভাবে তিনি ক্ষমতা ও নেতৃত্বের ভারসাম্য বজায় রাখেন, এবং কর্মীরা তাদেরকে কীভাবে দেখেন? যারা এইচআর পেশার যোগ্যতা সম্পর্কে ভাবছেন এবং একটি ভালো এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার দিয়ে টিম পরিচালনা করতে চান, তাদের জন্য লেখাটি একটি গাইডলাইন হতে পারে।

ব্লগে যা থাকছে-

এইচআর অফিসার পেশাটি কেমন এবং কাদের জন্য ভালো?

এইচআর (হিউম্যান রিসোর্সেস) পেশাটি মূলত মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির কাজ করে! যারা মানুষের মনস্তত্ত্ব, আচরণ, দলে কাজ করার দক্ষতা ও সমস্যা সমাধানে পারদর্শী, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ ক্যারিয়ার/পেশা। একজন প্রফেশনাল HR অফিসার প্রতিনিয়ত নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, কর্মী মূল্যায়ন, কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট, লিগ্যাল বিষয়াদি ও প্রতিষ্ঠানের সাংস্কৃতিক মানোন্নয়নে কাজ করেন।

এইচআর পেশা তাদের জন্য যাদের মধ্যে থাকে-

  • কার্যকর যোগাযোগ দক্ষতা
  • সমস্যা সমাধানের মনোভাব
  • মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও বোঝার ক্ষমতা
  • নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা
  • তথ্য গোপন রাখার সততা

এই পেশা তাদের জন্যও ভালো, যারা ভবিষ্যতে টিম পরিচালনার উচ্চতর পদে যেতে চান। যেমন- যেকোন টিমের টিম লিডার, হেড অব এইচআর, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (CHRO) ইত্যাদি।

এইচআর টিমের সকলকে অন্য কর্মীরা কেমন চোখে দেখেন?

কর্মীরা সাধারণত এইচআর টিমকে দুভাবে দেখেন! একদল মনে করেন এইচআর শুধু ম্যানেজমেন্টের পক্ষে কাজ করে, অন্যদল এইচআরকে তাদের সমস্যার সমাধানকারী হিসেবে বিবেচনা করেন। কিন্তু একজন দক্ষ এইচআর অফিসার এই বিভেদ দূর করে সবার আস্থা অর্জন করতে পারেন। কর্মীদের চোখে তারা হয়ে ওঠেন বিচারক, আবার অনেক সময় হয়ে ওঠেন অভিভাবকের মতো। খুব বেশি ব্যতিক্রম না হলে কর্মীরা তাদের এইভাবে দেখে থাকেন- 

১. বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গোপনীয়তার রক্ষক: এইচআর অফিসারদের প্রধান দায়িত্বগুলোর একটি হলো ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখা। কর্মীরা চান তাদের সমস্যাগুলো একজন বিশ্বাসযোগ্য অফিসারের কাছে তুলে ধরতে।

২. সমাধানদাতা: কর্মক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হলে, যেমন কলিগদের মধ্যে বিরোধ, বেতন সংক্রান্ত ইস্যু, অথবা ওয়ার্কলাইফ ব্যালেন্সের সমস্যা। এইচআর অফিসারের কাছেই প্রথমে যান অধিকাংশ কর্মী।

৩. নিরপেক্ষ প্রশাসক: কর্মীরা চান, এইচআর টিম হোক পক্ষপাতহীন। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা সহ একজন অফিসারই পারে নিরপেক্ষভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে।

৪. প্রশিক্ষক ও গাইড: কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে ও মোটিভেট করতে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও ফিডব্যাক সেশনে এইচআরের ভূমিকা অপরিহার্য। এ কারণে তারা অনেক সময় গাইড হিসেবেও বিবেচিত হন।

এইসব দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয় মূলত একজন এইচআরের ব্যবহারে এবং তার নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা কতটা শক্তিশালী, তার ওপর।

আপনাকে নেতৃত্ব ও ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য জানতে হবে!

অনেকে মনে করেন নেতৃত্ব আর ক্ষমতা একই জিনিস, কিন্তু তা ঠিক নয়। আবার অনেকে মনে করেন, নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা মানেই ‘অধিকার ও কমান্ড প্রয়োগ করা’। কিন্তু বাস্তবে নেতৃত্ব ও ক্ষমতা দুইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। ক্ষমতা হলো অফিসিয়াল অথরিটি, যা পদ বা অবস্থানের কারণে পাওয়া যায়। অন্যদিকে, নেতৃত্ব হলো মানুষ যা বা যাকে স্বেচ্ছায় অনুসরণ করে বা করার ইচ্ছা পোষণ করে।

এইচআর অফিসারের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা থাকা জরুরি, কারণ:

  • তিনি শুধু নিয়ম কানুন চাপিয়ে দেন না, বরং কর্মীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
  • তিনি কোম্পানির লক্ষ্য ও কর্মীদের চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রাখেন।
  • তিনি সংঘাত নিরসন করে টিমওয়ার্ক বাড়াতে সাহায্য করেন।

সহজ কথায় ক্ষমতা হলো- পদ, নিয়ম-কানুন আর নেতৃত্ব হলো- আস্থা, সম্মান ও ব্যক্তিত্ব। ক্ষমতা হলো- নির্দেশ দেওয়া, নিয়ন্ত্রণ করা আর নেতৃত্ব হলো- অনুপ্রেরণা দেওয়া, সমন্বয় করা। ক্ষমতা হলো- বাহ্যিক ও কর্তৃত্বমুখী আর নেতৃত্ব হলো- অভ্যন্তরীণ ও সম্পর্কনির্ভর। ক্ষমতা হলো- নিয়ম মানানো আর নেতৃত্ব হলো- টিমকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করা। এবার নিশ্চয়ই পরিষ্কার হয়েছে! একজন দক্ষ HR অফিসার তার ক্ষমতা নয়, বরং নেতৃত্ব দিয়েই কর্মীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করেন। তিনি বোঝেন, কর্মীদের সম্মান ও উৎসাহের মাধ্যমেই কর্মদক্ষতা বাড়ে।

HR অফিসারের কেনো নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা থাকতেই হবে?

একজন এইচআর অফিসার যদি নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ হন, তাহলে পুরো প্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্কৃতি ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন হয়। নিচে এর কিছু কারণ দেওয়া হলো-

১. টিম পরিচালনায় দক্ষতা দেখাতে হয়

এইচআর অফিসারকে বিভিন্ন কর্মচারী, বিভাগের প্রধান ও ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এখানে নেতৃত্ব ছাড়া সঠিক সিদ্ধান্ত ও সমন্বয় করা সম্ভব নয়।

২. সংঘর্ষ বা দ্বন্দ্ব সমাধানে নেতৃত্ব জরুরি

কর্মীদের মধ্যে বিবাদ হলে একজন প্রফেশনাল HR অফিসার কনফ্লিক্ট রেজল্যুশনের দায়িত্বে থাকেন। এ সময় কার্যকর নেতৃত্বের গুণ থাকলে সে সমস্যাগুলো সহজেই মীমাংসা করা যায়।

৩. ইতিবাচক নেতৃত্ব কাজের পরিবেশ তৈরি করে

একজন ভালো নেতা কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক নেতৃত্ব ছড়িয়ে দিতে পারেন। এটি শুধু মনোভাব উন্নয়নই করে না, বরং কর্মীদের ধরে রাখা বা রিটেনশন রেটও বাড়ায়।

৪. প্রতিষ্ঠানিক পরিবর্তনে নেতৃত্ব অত্যন্ত প্রয়োজনীয়

নতুন নিয়ম, সফটওয়্যার (যেমন এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার) বা সংস্কৃতিগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কর্মীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে একজন এইচআরের নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৫. কর্মী অনুপ্রেরণায় নেতৃত্বের প্রয়োজন

একজন প্রফেশনাল HR অফিসার যদি নিজেই উদ্যমী ও মোটিভেটেড থাকেন, তাহলে তার নেতৃত্ব কর্মীদের মাঝেও অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে।

নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তি!

আজকের দুনিয়ায় কেবল নিজস্ব গুণ দিয়ে নয়, প্রযুক্তি ব্যবহার করেও নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, হাজিরা বা অনুরূপ এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার দিয়ে কর্মীদের উপস্থিতি, ছুটি, পারফরম্যান্স এবং রিপোর্ট মনিটর করা যায়। এর মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া ও সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করা যায়। প্রযুক্তি একজন এইচআরের চোখকে আরও তীক্ষ্ণ করে তোলে এবং সিদ্ধান্তকে শক্তিশালী ও তথ্যভিত্তিক (ডেটা ড্রিভেন) করে তোলে।

একজন HR অফিসারের বেলায় শুধুমাত্র ক্ষমতা থাকলেই হয় না, প্রয়োজন নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা। কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা, সংকটকালীন সিদ্ধান্ত নেয়া, টিমকে অনুপ্রাণিত রাখা এবং প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতিষ্ঠানকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার মতো কাজ করতে গেলে একজন প্রফেশনাল HR অফিসার হিসেবে নেতৃত্ব গুণ অপরিহার্য। নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা থাকলে এইচআর অফিসার শুধু একটি টিমকেই নয়, পুরো প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে পারেন!

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটা জানতে দেখুন-  হাজিরা’র বিভিন্ন প্যাকেজ ও মূল্য

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

কর্মী ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ও সাশ্রয়ী বিনিয়োগ ‘হাজিরা’

একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নির্ভর করে মূলত তার কর্মীদের দক্ষতা ও সেই কর্মীদের পরিচালনা করার উপর। অথচ অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো কর্মী ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ করাকে শুধুই একটি খরচ বা বাড়তি চাপ বলে মনে করে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সঠিকভাবে কর্মী ব্যবস্থাপনা করা হলে তা প্রতিষ্ঠানকে দীর্ঘমেয়াদে লাভবান করে। আধুনিক যুগে এই ব্যবস্থাপনাকে সহজ, স্বচ্ছ এবং কার্যকর করে তুলতে দরকার একটি উপযুক্ত টুল। 

বাংলাদেশে এমনই একটি এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ হচ্ছে হাজিরা। একটি আধুনিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, যা একদিকে যেমন খরচ কমায়, অন্যদিকে কর্মদক্ষতা বাড়ায়। এই ব্লগে আমরা জানব, কীভাবে কর্মী ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ করা উচিত এবং কেন ‘হাজিরা’ হতে পারে আপনার ব্যবসার জন্য সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও কার্যকর সিদ্ধান্ত।

ব্লগে যা থাকছে-

আধুনিক কর্মী ব্যবস্থাপনা কেমন এবং কীভাবে করা উচিৎ?

আগে যেখানে কাগজে-কলমে হাজিরা রাখা হতো, ছুটির আবেদন ম্যানুয়ালি তদারকি করা হতো, এখন সেখানে সবকিছু হতে পারে ডিজিটালভাবে। আধুনিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট টুলগুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই কর্মীদের উপস্থিতি, ছুটি, ওভারটাইম, কাজের সময়, বেতন, কর্মক্ষমতা ইত্যাদি ট্র্যাক করতে পারেন।

কর্মী ব্যবস্থাপনার বেসিক বিষয়গুলো-

  • উপস্থিতি ও সময় ব্যবস্থাপনা: কোন কর্মী কখন অফিসে এসেছে বা কখন বিরতিতে গেছে, তা ট্র্যাক করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
  • ছুটি ও অনুপস্থিতি: স্বচ্ছ ছুটি ব্যবস্থাপনা কর্মী অসন্তোষ কমায়। কাজের শিফট নিয়ে জটিলতা কমায়।
  • পারফরম্যান্স ট্র্যাকিং: কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন হতে হবে নির্দিষ্ট ডেটার ভিত্তিতে। এমপ্লয়ি রিপোর্ট ফলো করলে গসিপে কান দিতে হয় না!
  • কমিউনিকেশন: প্রতিষ্ঠানে সহজ ও দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রযুক্তি ছাড়া এগুলো করা অসম্ভব

একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা যখন ১০-এর বেশি হয়, তখন কাগজে বা এক্সেলে সব ট্র্যাক করা কষ্টসাধ্য। এ কারণে এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করা এখন সময়ের দাবি। একটি ভালো অ্যাপ বা সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব ডেটা সংরক্ষণ করতে পারে, বিশ্লেষণ করতে পারে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে পারে।

কেন ‘হাজিরা’ কর্মী ব্যবস্থাপনায় একটি ভালো বিনিয়োগ?

  • সময় বাঁচায়: হাজিরা ব্যবহার করলে ম্যানুয়াল ডেটা এন্ট্রি, ছুটির হিসাব রাখা, উপস্থিতি যাচাইয়ের কাজগুলো অটোমেশন হয়ে যায়। ফলে ম্যানেজমেন্টের সময় বাঁচে এবং ভুলের পরিমাণ কমে।
  • খরচ কমায়: হাজিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট তৈরি করে দেয়। ফলে আলাদা করে HR সফটওয়্যার, Excel, Attendance মেশিনের খরচ লাগে না। এটি একধরনের সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার। 
  • স্বচ্ছতা আনে: কোনো কর্মী কখন অফিসে এলো বা ছুটি কবে নিয়েছে, এসব তথ্য সবার জন্য স্বচ্ছ থাকে। ফলে কর্মীদের মধ্যেও দায়বদ্ধতা বাড়ে।সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে: হাজিরা অ্যাপে প্রতিটি কর্মীর ডেটা সংরক্ষিত থাকে। সেই ডেটা দেখে আপনি সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কার কাজের প্রশংসা করবেন, কার কী সমস্যা হচ্ছে, বা কারো ছুটি বেশি হচ্ছে কি না ইত্যাদি।
  • ডেটা নিরাপত্তা: হাজিরা আপনার প্রতিষ্ঠানের ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এটি একটি ক্লাউডভিত্তিক সফটওয়্যার, তাই প্রতিষ্ঠানের সকল ডেটা সার্ভারে সেভ হয়। ফলে আপনি যখন খুশি তখন এবং যেকোন জায়গা থেকে এই ডেটা এক্সেস করতে পারেন। পাশাপাশি রিয়েল টাইমে ডেটা আপডেট করেতে পারেন।

হাজিরা নিশ্চিতভাবে আপনার টাকা ও সময় বাঁচাবে!

একটি প্রতিষ্ঠানের দুটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ, এক- সময় এবং দুই- অর্থ। হাজিরা অ্যাপ এই দুই ক্ষেত্রেই আপনার সর্বোচ্চ সাশ্রয় নিশ্চিত করে। ম্যানুয়াল হাজিরা, ছুটির হিসাব বা বেতন দেয়া, নির্ধারণ ও বিতরণে সময় নষ্ট না করে আপনি অটোমেটেড সিস্টেম ব্যবহার করে তা দ্রুত এবং নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। এর ফলে বাড়তি কর্মী নিয়োগ, এক্সেল ট্র্যাকিং বা হিসাবের ভুলের ঝামেলা থেকে রেহাই পারেন। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা হাজিরা ব্যবহার করার কারণে দুই তিন জন কর্মী কম নিয়েও কাজ পরিচালনা করতে পারছে। সহজ ভাষায় বললে- হাজিরা নিশ্চিতভাবে আপনার টাকা ও সময় বাঁচাবে!

হাজিরা: কর্মী ব্যবস্থাপনায় ব্যয় নয়, বিনিয়োগ!

অনেকেই মনে করেন, কর্মী ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ মানেই বাড়তি খরচ। কিন্তু বাস্তবে, এটি একটি লাভজনক সিদ্ধান্ত, যদি সঠিক টুল ব্যবহার করা হয়। হাজিরা একটি বাংলাদেশি এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ যা সহজেই প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মী পরিচালনার কাজগুলোকে অটোমেশন করে। অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি কর্মীদের হাজিরা, ছুটি, শিফট প্ল্যানিং, বেতন এবং ফাইল ম্যানেজমেন্ট সবকিছু এক প্ল্যাটফর্মে ট্র্যাক করতে পারেন।

বর্তমানে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এখানে সাফল্য পেতে হলে শুধু পণ্য বা সেবার মান ভালো হলেই হবে না, প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে। আর প্রতিষ্ঠানের ভিত শক্তিশালী হয় কর্মী ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ এর মাধ্যমে। আপনি যদি সত্যিই আপনার সময় ও অর্থকে যথাযথ কাজে লাগাতে চান, তাহলে এখনই ‘হাজিরা’ ব্যবহার শুরু করুন। এটিই হবে আপনার ব্যবসার বড় পরিবর্তনের সূচনা।

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটা জানতে দেখুন-  হাজিরা’র বিভিন্ন প্যাকেজ ও মূল্য

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!