কর্মী ব্যবস্থাপনায় ক্লাউড প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে গতিপথ!

কর্মী ব্যবস্থাপনায় ক্লাউড প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে গতিপথ!

বিশ্বজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিটি খাতেই প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটছে। বিশেষ করে কর্মী ব্যবস্থাপনায় ক্লাউড প্রযুক্তি এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে হাজির হয়েছে। আগের দিনের পেপারওয়ার্ক, ফাইলিং সিস্টেম তথা ম্যানুয়াল কাজ এখন অতীত। ক্লাউড-ভিত্তিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার এবং টুলগুলো মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে করছে আরও সহজ, নির্ভুল, দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য। বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে ক্লাউড কম্পিউটিং-ভিত্তিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ এখন প্রতিষ্ঠানের সময়, খরচ ও সম্পদের অপচয় কমিয়ে কর্মক্ষমতা বাড়াচ্ছে। 

এই ব্লগে আমরা জানব কীভাবে ক্লাউড টেকনোলজি কর্মী ব্যবস্থাপনার গতিপথকে বদলে দিচ্ছে এবং কেন এটি আধুনিক এইচআর ম্যানেজমেন্টে অপরিহার্য।

ব্লগে যা থাকছে-

ক্লাউড টেকনোলজি ও ক্লাউড কম্পিউটিং কী?

ক্লাউড প্রযুক্তি (Cloud Technology) হলো একটি ভার্চুয়াল পরিষেবা, যার মাধ্যমে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা এবং বিশ্লেষণ করা যায়। এর মাধ্যমে কোনও বিশেষ হার্ডওয়্যার বা লোকাল সার্ভার ছাড়াই ডেটা এক্সেস এবং সেই ডেটা নিয়ে কাজ করা সম্ভব হয়।

ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing) মূলত একটি পরিষেবা যা সফটওয়্যার, সার্ভার, ডেটাবেইজ, নেটওয়ার্কিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগুলোকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করার সুবিধা দেয়। তিনটি প্রধান মডেল ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের অন্তর্ভুক্ত- 

  • SaaS (Software as a Service): সফটওয়্যার সেবা যেমন- কর্মী ব্যবস্থাপনায় ক্লাউড প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ।
  • PaaS (Platform as a Service): ডেভেলপারদের জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম।
  • IaaS (Infrastructure as a Service): ভার্চুয়াল সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্কিং সেবা ইত্যাদি।

এগুলোর মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের তথ্য গচ্ছিত রাখা, তাৎক্ষণিক ব্যবহার ও নিরাপদে শেয়ার করা সহজ হয়।

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং ক্লাউড প্রযুক্তি

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা এইচআর ম্যানেজমেন্ট প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কর্মীদের উপস্থিতি, ছুটি, পারফরমেন্স, বেতন, প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য বিষয়গুলো ঠিকভাবে পরিচালনা করা এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। এখানেই ক্লাউড প্রযুক্তির অবদান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

একটি ক্লাউড-ভিত্তিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে কর্মীদের তথ্য অ্যাক্সেস করার সুযোগ দেয়। এর ফলে এইচআর বিভাগ হয় আরও কার্যকর ও সংগঠিত।

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাগুলো:

  • রিয়েল-টাইম ডেটা অ্যাক্সেস
  • কেন্দ্রীয় ডেটাবেইজে সংরক্ষিত তথ্য
  • অটোমেটেড রিপোর্ট ও অ্যানালিটিকস
  • কর্মীদের সেলফ-সার্ভিস পোর্টাল
  • সহজ ছুটি ও উপস্থিতি ম্যানেজমেন্ট

এই সুবিধাগুলো এখন এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ এবং সফটওয়্যারগুলোতে সহজলভ্য। ফলে কর্মী ব্যবস্থাপনায় ক্লাউড প্রযুক্তি হয়ে উঠছে আধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রথম পছন্দ।

ক্লাউড প্রযুক্তি যেভাবে কর্মী ব্যবস্থাপনার গতিপথ বদলে দিচ্ছে!

সারা বিশ্বের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো গতানুগতিক পদ্ধতির বদলে এখন ক্লাউড-ভিত্তিক সলিউশনের দিকে ঝুঁকছে। এটি শুধু দক্ষতা বৃদ্ধি করছে না, বরং খরচও কমিয়ে দিচ্ছে। ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মাধ্যমে HR ডিপার্টমেন্টগুলো রিয়েল-টাইম ডেটা অ্যাক্সেস, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি এবং দূরবর্তী কর্মী ব্যবস্থাপনার সুবিধা পাচ্ছে।

১. স্বয়ংক্রিয়তা ও সার্বিক দক্ষতা বৃদ্ধি

আগে যেখানে ম্যানুয়ালি ডেটা এন্ট্রি করতে হতো, এখন সেখানে অটোমেটেড সিস্টেমের মাধ্যমে অল্প সময়ে বিশাল পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করা যায়। যেমন- কর্মীর উপস্থিতি গণনা বা ট্র্যাক করা, ওভারটাইম হিসাব, ছুটি অনুমোদন ইত্যাদি। কর্মী ব্যবস্থাপনায় ক্লাউড প্রযুক্তির এই অটোমেশন প্রতিষ্ঠানকে আরও উৎপাদনক্ষম করে তোলে।

২. দূর থেকে অফিস পরিচালনা বা করার সুবিধা

রিমোট ওয়ার্ক বা হাইব্রিড মডেল এখন একটি নতুন ওয়ার্ক ট্রেন্ড! ক্লাউড কম্পিউটিং-ভিত্তিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট টুল ব্যবহার করে এইচআর টিম যেকোনো জায়গা থেকে কর্মীদের তথ্য মনিটর ও আপডেট করতে পারে।

৩. ডেটার নিরাপত্তা এবং ব্যাকআপ সুবিধা

ক্লাউড-ভিত্তিক সিস্টেমে ডেটা থাকে এনক্রিপটেড এবং নিরাপদ সার্ভারে। এছাড়া অটোমেটিক ব্যাকআপের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারানোর আশঙ্কা থাকে না। HR ম্যানেজমেন্টে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান তার সংবেদনশীল তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পারে।

৪. প্রফেশনাল রিপোর্টিং ও ডেটা বিশ্লেষণ সহজ করেছে

কর্মীদের পারফরমেন্স, উপস্থিতি, লিভ হিস্ট্রি, স্যালারি রিপোর্ট ইত্যাদি সহজে বিশ্লেষণ করা যায় ক্লাউড-ভিত্তিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই তথ্য বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৫. কর্মীদের অংশগ্রহণ এবং ক্ষমতায়ণ বাড়ছে

কর্মীরা যখন নিজের ছুটি, উপস্থিতি বা তথ্য নিজে আপডেট করতে পারে, তখন তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও অংশগ্রহণ বাড়ে। কর্মী ব্যবস্থাপনায় ক্লাউড প্রযুক্তির এই সেলফ-সার্ভিস মডেল প্রতিষ্ঠান ও কর্মী উভয়ের জন্যই ইতিবাচক। এটা অফিসের কাজের পরিবেশে বিশাল পরিবর্তন এনে দেয়।

৬. খরচ কমায় ও সময় বাঁচায়

পেপারওয়ার্ক বা কাগুজে কাজ কমে যাওয়ায় এবং অটোমেটেড প্রসেসের মাধ্যমে এইচআর টিমের কাজের চাপ কমে। এতে প্রতিষ্ঠান খরচ বাঁচাতে পারে এবং টিম ফোকাস করতে পারে আরও গঠনমূলক কাজে। ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিতে পারে।

৭. প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্কেলেবল বা পরিমাপযোগ্য করে তোলে

ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠান সহজেই তার মানব সম্পদ নেটওয়ার্ক প্রসারিত করতে পারে। নতুন কর্মী যুক্ত করা, শাখা বাড়ানো বা পরিবর্তন আনা খুব সহজ হয়।

৮. আইনগত ও নীতিমালাভিত্তিক কমপ্লায়েন্স বজায় রাখা সহজ

কর্মী সম্পর্কিত নীতিমালা, শ্রম আইন অনুসরণ করা এবং সময়মতো ডকুমেন্টেশন ক্লাউড টেকনোলজির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিশ্চিত করা যায়। ফলে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এবং দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।

৯. অন্য সিস্টেমের সাথে ইন্টিগ্রেশন সুবিধা

অন্যান্য সিস্টেমের সঙ্গে (যেমন- পে-রোল, অ্যাকাউন্টিং, বেনিফিট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি) ক্লাউডভিত্তিক এইচআর সফটওয়্যার সহজেই ইন্টিগ্রেট হয়। এতে কাজ হয় আরও সুশৃঙ্খল এবং নির্ভুল।

১০. টেকনোলজির সঙ্গে তাল মিলিয়ে থাকা

আধুনিক বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মতো প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। কর্মী ব্যবস্থাপনায় ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে পারে।

এবার আপনার প্রস্তুতি নেবার পালা!

কর্মী ব্যবস্থাপনায় ক্লাউড প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়েছে নতুন দিশা। এটি শুধু সময় ও খরচই বাঁচায় না, বরং প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে করে আরও গতিশীল ও কার্যকর। HR ম্যানেজমেন্টে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর প্রভাব এতটাই গভীর যে, এটি ভবিষ্যতের প্রতিষ্ঠান গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একটি কার্যকর এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে যে প্রতিষ্ঠান আজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে, আগামীকাল তার ফলাফল ভোগ করবে সফলতার মাধ্যমে!

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
সাবস্ক্রাইব করুন
নতুন ফিচার ও অফারের আপডেট পেতে হাজিরা’র সাথে কানেক্ট থাকুন।