একজন দক্ষ এইচআর অফিসার শুধু কর্মী নিয়োগ, প্রত্যাহিক হাজিরা বা ছুটি ম্যানেজ করেন না। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সংকোচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অনেক সময় মনে হয়, কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দিলে অফিস পরিচালনার খরচ কমবে। কিন্তু বাস্তবে কর্মীদের বঞ্চিত না করেও মালিকের অর্থ সাশ্রয়ের কৌশল বের করা সম্ভব। সঠিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে সময় ও সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করলে এবং অফিস পরিচালনার কার্যকারিতা বাড়ালে এই লক্ষ্য অর্জন করা যায়।
এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো, কীভাবে একজন এইচআর অফিসার তার যোগ্যতা দিয়ে মালিকের অর্থ সাশ্রয় করতে পারেন, তাও কর্মীদের সুযোগ সুবিধা পুরোপুরি বজায় রেখে।
ব্লগে যা থাকছে-
এইচআর টিমের প্রধান কাজ কি ব্যয় সংকোচন?
এইচআর টিমের প্রধান কাজ কেবলমাত্র নিয়োগ ও ছুটি ব্যবস্থাপনা নয়। তাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো প্রতিষ্ঠানের মানুষের সর্বোচ্চ দক্ষতা নিশ্চিত করে কর্মক্ষমতা বাড়ানো এবং অফিস পরিচালনা ব্যয় কমানো। প্রতিষ্ঠানের রিসোর্সগুলো যেন অপচয় না হয়, সেদিকেও নজর রাখা এইচআর অফিসারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
যেমন- অতিরিক্ত ওভারটাইম, অপ্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ বা অকার্যকর শিফট প্ল্যানিং, এসবের কারণে অফিস পরিচালনায় বাড়তি ব্যয় হয়। সঠিক পরিকল্পনা, কর্মীদের প্রেষণা বজায় রাখা এবং এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট টুল ব্যবহারের মাধ্যমে এই খরচ অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
অর্থাৎ, ব্যয় সংকোচন এক ধরনের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাকশন বা কৌশল, যা সঠিক এইচআর নীতিমালার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।
HR অফিসার হিসেবে আপনার যোগ্যতা প্রমাণের জায়গাগুলো কী কী?
একজন দক্ষ HR অফিসার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে কেবল ছকে বাধা কাজ জানা যথেষ্ট নয়। কিছু বিশেষ যোগ্যতা আপনাকে আলাদা করে তুলবে যেমন-
- ডেটা বা তথ্য বিশ্লেষণের দক্ষতা: কর্মীদের উপস্থিতি, উৎপাদনশীলতা ও ব্যয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে সমস্যা চিহ্নিত করতে জানতে হবে।
- কমিউনিকেশন স্কিল বা যোগাযোগ দক্ষতা: কর্মীদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করে তাদের চাহিদা ও অসুবিধা বোঝা এবং সমাধান প্রদান করতে পারাটা সবচেয়ে জরুরি।
- টেকনোলজি ব্যবহারে পারদর্শিতা: আধুনিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার যেমন- ‘Hazira‘ বা অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহারে দক্ষতা থাকা। এমন আরও অনেক নতুন টেকনোলজির সাথে খাপ খাওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।
- নীতি প্রণয়নে দক্ষতা: অফিস পরিচালনার নীতিমালা তৈরি ও প্রয়োগে সক্ষমতা থাকা জরুরি।
- কাজের গুরুত্বানুসারে শ্রেণিবিন্যাস ও পরিকল্পনা করার ক্ষমতা: সময় ও রিসোর্স সাশ্রয়ে আগাম পরিকল্পনা এবং কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে পারা।
HR অফিসার হিসেবে মালিকের অর্থ সাশ্রয়ের ৭টি কৌশল
মালিকের অর্থ সাশ্রয়ের কৌশল মানেই কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা কেটে নেওয়া নয়। একজন দক্ষ এইচআর অফিসার এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ও টুলস ব্যবহার করে অফিস পরিচালনা ব্যয় কমাতে পারেন। যেমন- স্মার্ট শিফট প্ল্যানিং, পেপারলেস প্রসেস, পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ ইত্যাদি কৌশলে কর্মীদের অধিকার বজায় রেখেই খরচ কমানো সম্ভব। এখন চলুন মূল বিষয়ে যাওয়া যাক। কর্মীদের বঞ্চিত না করেও একজন HR অফিসার কীভাবে মালিকের অর্থ সাশ্রয় করতে পারেন, তা জানবো-
১. এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করুন
হাতে কলমে বা লেজার শিটে হিসাব রাখার দিন শেষ। আধুনিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ দিয়ে হাজিরা, ছুটি, শিফট প্ল্যানিং ও কর্মীদের ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট অনেক সহজ হয়। এতে HR অফিসারের সময় বাঁচে, ভুলের সম্ভাবনা কমে এবং অফিস পরিচালনা ব্যয় কমে যায়।
২. তথ্যনির্ভর বা ডেটা ড্রিভেন ডিসিশন নেওয়া
কোন কর্মী কতটা প্রোডাক্টিভ, কার ওভারটাইম বেশি, কে বারবার ছুটি নিচ্ছে, এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় চিহ্নিত করা যায়। এই ধরনের তথ্য ব্যবহার করে কস্ট কাটিং করা সম্ভব।
৩. ইলেকট্রনিক কন্ট্রাক্ট সাইনিং ও পেপারলেস প্রসেস
চাকরির কাগজপত্র, অ্যাপ্লিকেশন, ছুটির আবেদন সবকিছু ডিজিটাল করলে কাগজ, প্রিন্টার, স্টোরেজের খরচ কমে যায়। এটাই মালিকের অর্থ সাশ্রয়ের অন্যতম সহজ কৌশল। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এই নীতি অবলম্বন করে সুফল পেয়েছে।
৪. কাজের শিফট প্ল্যানিং করুন
অতিরিক্ত কর্মী রেখে অপচয় না করে শিফট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় লোকবল রাখুন। হ্যাজিরা-র মতো সফটওয়্যারে স্মার্ট শিফট প্ল্যানিং ফিচার আছে, যা দিয়ে এ খরচ কমানো সহজ হয়।
৫. সময়মতো কর্মীদের পারফরম্যান্স রিভিউ
সঠিক সময় পারফরম্যান্স রিভিউয়ের মাধ্যমে কর্মীদের উন্নয়ন বা পরিবর্তন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। দুর্বল পারফর্মারদের বা কর্মীদের প্রশিক্ষণ না দিয়ে একাধিকবার সুযোগ দিলে প্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৬. ফ্রিল্যান্স বা পার্ট-টাইম রিসোর্স ব্যবহারে দক্ষতা
সব সময় ফুল-টাইম এমপ্লয়ি না রেখে প্রকল্পভিত্তিক বা ফ্রিল্যান্সভিত্তিক লোক নিয়োগে অর্থ সাশ্রয় হয়। এ ক্ষেত্রে সঠিক কন্ট্রাক্ট ও সময়ানুযায়ী তা নিয়ন্ত্রণ করাটা জরুরি।
৭. এমপ্লয়ি রিটেনশন বা কর্মী ধরে রাখার প্রবণতা বাড়ান
নতুন কর্মী নিয়োগ, ট্রেনিং, অনবোর্ডিং ইত্যাদির খরচ অনেক বেশি। তাই বিদ্যমান কর্মীদের সন্তুষ্ট রেখে প্রতিষ্ঠানে ধরে রাখা যায়, সেটাই মালিকের জন্য সবচেয়ে লাভজনক। এইচআর অফিসারের দায়িত্ব কর্মীদের মোটিভেশন ও কর্মপরিবেশ ঠিক রাখা।
কর্মীদের বঞ্চিত করা এইচআর প্রফেশনালদের কাজ নয়!
একজন প্রকৃত এইচআর প্রফেশনাল জানেন, কর্মীদের সুবিধা কমিয়ে খরচ কমানো একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এতে করে কর্মীরা অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে, কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বরং এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বা টুলস ব্যবহার করে এমন কৌশল গ্রহণ করা উচিত, যা কর্মীদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে এবং একইসাথে মালিকের অর্থ সাশ্রয়ের কৌশল প্রয়োগ করা যায়।
HR এর কাজ হলো কর্মীদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করা এবং সেই সাথে প্রতিষ্ঠানের লাভ বজায় রাখা। এই দুটো ব্যালেন্স করতে পারলেই একজন HR প্রফেশনাল সফল হন!
আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা
হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-
- দৈনিক হাজিরা
- কর্মী তথ্যভাণ্ডার
- কাজের শিফট প্লানিং
- রিপোর্ট
- পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
- ডিজিটাল চুক্তিপত্র
- ডকুমেন্ট ভল্ট
- কাস্টম সেটিংস
- ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট
কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক- হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য–
০১. বেসিক প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ০ থেকে ২০ জন
- ৳১,৫০০/ মাসিক
- ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক
০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ২১ থেকে ৫০ জন
- ৳৩,০০০/ মাসিক
- ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক
০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ৫০ থেকে ৯৯ জন
- ৳৪,৫০০/ মাসিক
- ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক
০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ১০০+ জন
- আলোচনা সাপেক্ষে
- যোগাযোগ করুন-
- ফোন: 01967391554
- ইমেইল: info@hazira.com
সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!
১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন:
প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে।
(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)
২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন:
ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।
৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন:
এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে।
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ-
হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!
হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!